নিজস্ব প্রতিবেদক:
“রংপুর প্রেসক্লাবের” সদ্য ঘোষিত সংশোধিত সদস্য তালিকা নিয়ে রংপুরের বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক মহলে নতুন করে বিরুপ প্রতিক্রিয়া, তীব্র সমালোচনা ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক আন্দোলন’র সদস্য বৃন্দরা অভিযোগ করে বলেছে, সদস্য অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়ম ও অস্বচ্ছতা ছিল,সাত সংস্থার নাম ব্যাবহার করলেও এ যেনো এক ধোঁয়াশায় ঘেরা,যার ফলে বহু পেশাদার মুলধারার সাংবাদিক তালিকা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
গত ১৪ই অক্টোবর ২০২৫ ইং তারিখে প্রেসক্লাবের ১০৫ সদস্যের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে অভিযোগ উঠেছে, তালিকার মধ্যে বেশ কয়েকজন অপেশাদার ব্যক্তি প্রভাব ও কৃত্রিম কাগজপত্রের মাধ্যমে সদস্যপদ অর্জন করেছেন। এতে মাঠ পর্যায়ে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত প্রকৃত মুল ধারার সাংবাদিকরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ আরও জানান, প্রেসক্লাবের সদস্যপদ প্রদানে ন্যায় ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়নি। তারা দাবি করেছেন, বর্তমান সদস্য তালিকা বাতিল করে নতুনভাবে যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে প্রকৃত সাংবাদিকদের এই তালিকা পুন: বিন্যাস,পুনরায় যাচাই-বাছাই কর্তৃক অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯শে অক্টোবর ২০২৫ ইং তারিখে রংপুর প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় ১০৫ জন সদস্যের অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করে তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রংপুর, প্রশাসক রংপুর প্রেসক্লাব’র রমিজ আলমের নিকট জমা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে সভা চলাকালে বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরা সেখানে উপস্থিত হয়ে কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানান। তাদের অভিযোগ, তালিকায় বহু অনিয়মিত ও অপেশাদার ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যা প্রকৃত সাংবাদিকদের প্রতি অবিচার। তারা দাবি জানান, অপেশাদার সদস্যদের পদ বাতিল করে প্রকৃত সাংবাদিকদের তালিকাভুক্ত করতে হবে। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রমিজ আলম বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “যদি তালিকায় অপেশাদার সাংবাদিকের নাম থাকে, প্রমাণসহ তালিকা দিলে প্রশাসন তা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। পাশাপাশি প্রকৃত সাংবাদিকদের নামও প্রেরণ করা হলে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, জেলা প্রশাসন প্রয়োজনে নতুন যাচাই-বাছাই কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিতে পারে, যাতে রংপুর প্রেসক্লাবের সদস্য তালিকায় স্বচ্ছতা ও ন্যায় নিশ্চিত হয়।
রংপুরের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মহল মনে করছেন, রংপুর প্রেসক্লাবের মর্যাদা ও ঐক্য রক্ষায় পেশাদার সাংবাদিকদের যাচাই প্রক্রিয়া অত্যন্ত জরুরি। স্বচ্ছতার মাধ্যমে প্রকৃত সাংবাদিকদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা গেলে রংপুর প্রেসক্লাবের বিশ্বাসযোগ্যতা ও ঐতিহ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে®
Leave a Reply