মোঃ হেলাল উদ্দিন
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে
মেম্বার পদে জয়লাভ করেই মনির নামের এক ইউপি সদস্যর টাকা মালা গলায় পরে উল্লাস করায় বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমাচোলনার ঝর উঠেছে বলেছে খবর পাওয়া গেছে। তার এ বিজয়োল্লাসের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। এলাকার সাধারণ মানুষ এ ঘটনাটিকে ক্ষমতার চরম অপব্যবহার বলে অভিযোগ করছেন। তাদের আরও অভিযোগ মনির মেম্বার এর আগেও বহু অপকর্ম করে ধামাচাপা দিতে সমর্থ হয়েছেন। সে সব অপকর্মের শিকার সাধারণ মানুষ এখন রীতিমতো মেম্বার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। এলাকাবাসী জানায়, মনির মেম্বার এলাকায় কানা মনির নামে পরিচিত। পানখালী গ্রামের আবদুল সিকদারের ছেলে কানা মনির বহু কুকীর্তির নায়ক। অনেক আগ থেকেই তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, জমি দখলসহ বহু অভিযোগ রয়েছে। গত ২০১২ সালে মনির মেম্বার কালারাজা হাট হোসাইনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার নবম শ্রণীর পড়ুয়া এক কিশোরীকে অপহরণ করে পটুয়াখালী নিয়ে যান। সেখানে ওই কিশোরীকে আটকে রেখে তিনি একাধিকবার ধর্ষন করেন। এ ঘটনায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা (মামলা নং- ৭৭/১২) চলমান আছে। এর পরের বছর ২০১৩ সালে পানখালী মুহিবুল্লাহ দাখিল মাদ্রাসার আরেক ছাত্রীকে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে জোরপূর্বক অপহরন করেন এবং বাল্যবিয়ে করেন। পরবর্তীতে ওই কিশোরীকে তালাক দিলেও আবার তাকে নিয়েই সংসার করছেন। এ ঘটনায় গলাচিপা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা চলমান আছে। এছাড়া মনিরের বিরুদ্ধে ৪৩১/০৩ সহ আরও একাধিক নারী নির্যাতন মামলা রয়েছে। মনিরের বিরুদ্ধে আরও বহু অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। অন্যের গাছ চুরি, মাছের ঘেরের টাকা আত্তসাত, সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে খালেক সিকদারের ছেলে টিটু সিকদারকে বাড়িতে নিয়ে বিবস্ত্র করে অমানবিক নির্যাতন ও ভুয়া ওয়ারিশ সার্টিফিকেট তৈরীর অভিযোগ রয়েছে। মনির মেম্বার স্থানীয় চান মিয়া হাওলাদার ও ছোমেদ হাওলাদারের মধ্যে কবলা জমি বেচাকেনায় তাদের অজান্তে নিজের নাম গ্রহিতায় অন্তর্ভুক্ত করে জমি জবর দখল করেন। তার নিকট আত্মীয় হাফেজা খাতুনের কাছ থেকে কবলা দলিলে ৪ শতকের পরিবর্তে অতিরিক্ত ১২ শতক জমি দখল করেন। এ ধরণের বহু অপকর্মের পরেও টাকা ও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে গত ২১ জুন মোঃ মনির মেম্বার নির্বাচিত হয়েই টাকার মালা গলায় দিয়ে এলাকায় মিছিল করেন। যা এলাকায় ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। এসব বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মনির মেম্বার সব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, সমর্থকরা টাকার মালা বানিয়ে গলায় দিয়ে একটু আনন্দ করেছে। এটা ঠীক হয় নাই।
Leave a Reply