কুদরত আলী ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
পিছিয়ে পড়া প্রতিবন্ধী ছাত্র ছাত্রীদের সমাজে বোঝা থেকে আলোর মুখ দেখানোর জন্য সারাদেশে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। এই সব বিদ্যালয় স্থাপনের পর থেকে অবিরাম ভাবে সময় ও শ্রম দিতে শুরু করে শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ কিন্তু বেতন ভাতা না পাওয়ায় নিজ স্ত্রী সন্তান সহ মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে অনেক শিক্ষক শিক্ষিকা পরিবার গুলোর। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নে একতা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র এরমই সমস্যার সম্মুখীন। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যস্ত সময় পার করছে শিক্ষকবৃন্দ।
প্রতিষ্ঠানটির সহকারী শিক্ষক আল মোমিন বলেন, পার্শে তিনটি উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন থেকে বিশেষ শিশুদেরকে আমরা নিজস্ব পরিবহনের মাধ্যমে প্রতি দিন স্কুলে আনা নেওয়া করি। প্রায় ১.৫ একর জমিতে প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত, এখানে শিক্ষার পাশাপাশি বিশেষ শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা করে থাকি কিন্তু আমাদের দুঃখ আমরা না খেয়ে আর কতদিন শিক্ষাদান করব তাই আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি তিনি যেন দ্রুত আমাদের প্রতিষ্ঠানটিকে এমপিও ভুক্তি করেন। বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে পরিচয় পাওয়া মাত্র প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচাল আমিরুল ইসলাম জানালেন দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে বিদ্যালয়ে শিক্ষা দান করতে গিয়ে সংসারের করুন ইতিহাস। তিনি বলেন, ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে এ পর্যন্ত চলছে বর্তমানে বিদ্যালয়ে ৪৫৫ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠান টি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন ও স্বীকৃতি পেয়েছি। এমপিও ভুক্তির জন্য আবেদনও করা হয়েছে। এখন যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের দিকে সুদৃষ্টি করেন এবং আমাদের এমপিও ভুক্তি করেন তাহলে আমরা শিক্ষক কর্মচারী সবাই পরিবার নিয়ে ডাল ভাত খেয়ে বেচে থাকতে পারি। তিনি একুশেখবর.কম এর প্রতিবেদককে আরও বলেন, আপনার মাধ্যমে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি এজতা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুল ও পূর্ণবাসন কেন্দ্রটিকে দ্রুত এমপিও ভুক্তি করার জন্য।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামান বলেন, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় গুলোর বিষয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হবে, এবং এমপিও ভুক্তির জন্য চেস্টা করা হচ্ছে।
Leave a Reply