নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুরের মাহিগঞ্জে বহুল আলোচিত লিপি হত্যা মামলার একমাত্র বাদী ভিকটিমের পিতা মোবারক ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তা হীনতার মধ্যে জীবনের ঝুকি নিয়ে বাড়ী ঘড় ছেরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে, এমনই ঘঠনার খবর পাওয়া গেছে।
একাধিক মামলার এজাহারের বিবরন সুত্র থেকে জানতে পারা যায় যে গত ২০১৫ ইং সালের মে মাসে রংপুরের মাহিগঞ্জ থানার বিহারী মৌজার মোবারক মিয়ার মেয়ে লিপি বেগমের সাথে একই থানার পার্শ বর্তি এলাকা রঘুর বাজার নামক জায়গার দেলোয়ারের ছেলে কামরুজ্জামানের সাথে বিয়ে সম্পন্ন হয়। কিন্তু বিবাহিত জীবনে কামরুল প্রায় দিনই তার স্ত্রীকে মারধর করতো এমনই কথা এলাকাবাসী জানান। পরবর্তীতে তাদের ঘড়ে একটি পুত্র সন্তানও হয় নাম রাকিব (৬) কিন্তু বিয়ের ৭/৮ বছর পর গত ২৪ শে জুন ২০২২ ইং বিকেলে কামরুজ্জামান এর বোনের বাড়িতে গাভীর দুধ দেয়াকে কেন্দ্র করে তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে তুমুল ঝগড়াঝাটি হয়। পরে লিপি রাগ করে বাবার বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিলে, রঘু বাজার থেকে কামরুজ্জামান মারতে-মারতে লিপিকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। এর পর রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে এলাকায় জানাজানি হয় লিপি গলায় দড়ি (ফাস) দিয়ে আত্নহত্যা করেছেন। পরে স্থানীয়রা ভোরবেলা কামরুজ্জামান এর বাড়ীতে এসে লিপির মরদেহ বিছানার উপর দেখতে পান। স্থানীয়রা জানান, নিহত লিপি পরেহেজগার ও দিনদার একজন নারী ছিলো নিয়মিত নামাজ রোজাও করতেন ,সে আত্মহত্যা করতে পারে না তাকে মেরে এখন তার সামী কামরুল এটাকে আত্মহত্যার নাটক বানাতে চাইছে।
মৃত্যুর বিষয়টি লিপির বাবা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারলে তিনি তাহার নিজের ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও স্থানীয় কয়েক জনকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল তাহার মেয়ের সামীর বাড়ী রঘুতে পৌছালে সেখানে গিয়ে জানতে পারেন তাহার মেয়ে গলায় ফাস নিয়ে নিজে নিজে আত্মহত্যা করেছে বলে তাহার সামির বাড়ীর লোকজন দাবি করছে। আত্মহত্যার ঘঠনাটি তাহার বিশ্বাস না হলে তিনি এক পর্যায় চিল্লাচিল্লি শুরু করলে সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত মাহীগঞ্জ থানার তখনকার দায়িত্ব প্রাপ্ত সাব ইন্সপেক্টর মনোয়ার হোসেন নামে একজন পুলিশ তাকে জানায় যে লাশ নিতে হলে তিনটি কাগজে আপনার সাক্ষর দিয়ে লাশ নিয়ে যান এখন আপাতত লাশ পোস্টমর্টেম করার জন্য রংপুর মেডিক্যাল এ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিরক্ষর মোবারক মিয়া মেয়ের শোকে কাতর কিছু না বুঝে শুনে নিরক্ষর মোবারক তিনটি সাদা কাগজে তিনটি সাক্ষর দেন। তাহার দাবী আমি তো নিরক্ষর আমি কোন পড়াশোনা জানিনা। পরে থানায় আমি লাশ আনতে গেলে আমাকে মাহিগঞ্জ থানার সাব ইন্সপেক্টর মনোয়ার একটি কাগজ আমার হাতে দিয়ে বলেন আপনি আপনার মেয়ের হত্যার বিচার চেয়ে ৩০৬-১৮৬০ ধারায় আত্নহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অপরাধে একটি মামলা করেছেন, মামলা নং ০৮ তারিখ ২৫ই জুন ২০২২ইং। মোবারক মিয়া তখন বলেন আমি তো ৩০৬ ধারায় কোন মামলা করি নাই তখন সংশ্লিষ্ট ঔ পুলিশ কর্মকর্তা ধমক দিয়ে তার হাতে মামলার নকল ধরিয়ে দিয়ে থানা থেকে বের করে দেন। নিহতের পিতা মামলার বাদী বলেন
২৬শে জুন লাশ দাফন করার পরদিন সেই কাগজ (মামলার নকল) গ্রামের শিক্ষিত লোকজনকে দেখালে তারা বলেন, এটি তোমার মেয়ের হত্যা মামলা হয়নি! এটি পুলিশ তোমাকে ভুল বুঝিয়ে ভুল মামলা দিয়েছে এতে তোমার মেয়ে হত্যার বিচার পাবা না,তুমি কোর্টে যাও।
নিরুপায় হয়ে আমি উকিলের সাথে কথা বলি, সমস্ত ঘটনা শুনে উকিল পরামর্শ দেন পুনরায় মামলা করার তাই আমি আদালতের সরনাপন্ন হয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোর্টে- ৩০২/৩৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করি। যাহার নং-cr-42/22
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তৎকালিন, মাহিগঞ্জ মেট্রোপলিটন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান তখন বলেছিলেন, ঘটনার দিন মৃতার পিতা প্রথমত কোন মামলায় করতে চাচ্ছিলেন না। তারপরও দীর্ঘ সময় তাকে বুঝিয়ে ৩০৬ ধারায় আত্নহত্যার প্ররোচনার অপরাধে আমরা একটি মামলা নিয়েছি। পরে যদি তারা আদালতে মামলা করতে চায় তাহলে কোন সমস্যা নেই, এরকম কোন মামলা অর্ডার কোপি থানায় আসলে অবশ্যই দুটি মামলারই সুস্পষ্ট তদন্ত করে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। পরে কোর্ট থেকে থানার কাছে এই মামলার রি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হলে পুনরায় তৎকালীন আওয়ামী পন্থী ওসি ও সাব ইন্সপেক্টর মামলার ভুলভাল তদন্ত প্রতিবেদন কোর্টে দাখিল করলে এতে মামলার বাদী নারাজী দিলে সংশ্লিষ্ট পুলিশের দুর্নীতির বিষয়টি পরিলক্ষিত হয় এরপর মামলাটি রংপুর ম্যাজিসটেট কোর্ট পিবিআই কে তদন্ত করার জন্য দেন যা এখনও চলমান। এহেন পরিস্থিতিতে মামলার বিবাদীগন মোটা অংকের টাকা খরচ করে মাস্তান ভাড়া করে তাদের দারা বাদীকে মারধোরের ভয়,জানে মেরে ফেলার ভয়,পথরোধ করে ধাক্কা ধাক্কী করা সহ মোবাইলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকলে,এক পর্যায় বাদী এদের ভয়ে এখন বাড়ীঘড় ছেরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পরবর্তীতে মৃতার বাবা মামলার বাদী মোবারক জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে একরকম বাধ্য হয়েই পুনরায়
রংপুর বিজ্ঞ নির্বাহী মাজিস্ট্রেট মাহিগঞ্জ মেট্রোপলিটন থানা আদালত নং ০২ এ একটি ১০৭ ধারা মামলা করেন যাহার নং এম আর ০২-২৫©
Leave a Reply