রাকিবুল ইসলাম লিমন, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রাম জেলা জাতীয় পার্টির নবগঠিত কমিটিতে পদ না পাওয়া নেতা কর্মীরা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে অবিলম্বে বর্তমান কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়েছে। নবগঠিত বর্তমান জেলা কমিটি বাতিল না করলে বড় আন্দোলনেরও হুশিয়ারি দিয়েছেন তাহারা ৩০শে আগস্ট ২০২৩ রোজ বুধবার, সকাল ১১টার দিকে কুড়িগ্রাম পুরাতন শহর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে পুরো শহর প্রদক্ষিণ করে। শহরের শাপলা চত্ত্বরে প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপি সড়ক অবরোধ করে তাহারা। এক পর্যায়ে জাতীয় পার্টির একাংশের পরিচিতি ও আলোচনা সভাস্থল ঘিরে রাখে ক্ষুব্ধ নেতাকর্মী রা। এ সময় উক্ত নেতা-কর্মীরা জেলা জাতীয় পার্টির নবনির্বাচিত আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক এবং সদস্য সচিব মেজর(অবসরপ্রাপ্ত) আব্দুস সালামের ব্যান্যার-ফেস্টুন ছিড়ে রাস্তায় পুড়িয়ে ফেলে। দীর্ঘক্ষন সড়ক অবরোধ থাকার কারনে অকার্যকর হয়ে যায় শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা। শহরে ব্যাপক যানযটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে,কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুড়িগ্রাম সদর সার্কেল) ওহিদুন্নবী এবং কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদ হোসেন ঘটনাস্থলে এসে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উক্ত বিক্ষোভ ও অবরোধে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন- জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সদস্য সচিব আহমেদ বাবু, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আজিজুল ইসলাম সন্ডে, রাজারহাট উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ওয়াহেদ সরকার, আতাউর রহমান আতা, ফুলবাড়ী উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক হারুনুর রশিদ সহ আরও অনেকে। বক্তারা, সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন-‘আমরা যুগ যুগ ধরে জাতীয় পার্টি করে আসছি। পার্টি করতে গিয়ে জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। কিছু হাইব্রিড নেতা পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে ভুল বুঝিয়ে একটি পাতানো কমিটি গঠন করেছে।মেজর (অবঃ)আব্দুস সালাম দলে উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। বিগত পাঁচ বছরে যিনি দলীয় কিংবা জাতীয় কর্মসূচিতে না আসলেও এখন তিনিই জেলা কমিটির সদস্য সচিব। জেলা কমিটির আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক তার মনগড়া দল চালানোর জন্য জনবিছন্ন হাইব্রিড নেতা আব্দুস সালামকে সদস্য সচিব বানিয়েছেন। আমরা এই অবৈধ ও পাতানো কমিটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি দেন নেতারা। এ ব্যাপারে, জেলা জতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক ও কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব পনির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তিন উপজেলার যে সমস্ত নেতা-কর্মী পদবঞ্চিত হয়েছেন তারাই মূলত আজকের কর্মসূচি দিয়েছে। ত্যাগীরা পদবঞ্চিত হওয়ায় তারা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে®